• কৃষিজপণ্য বিপণন কমিটি এবং রাস্তার বিক্রেতা ইত্যাদিরা শুধুমাত্র অনলাইনে টাকা নিতে বা দিতে শুরু করলে ডিজিটাল ব্যবস্থায় যেতে সমর্থ্ ধনী চাষিরা ছোট চাষিদের ক্রমেই হঠিয়ে দেবে।

  • গ্রামীণ ভারতে বিদ্যুতের লভ্যতা অত্যন্ত কম। ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের উপজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ এত কম এলাকায় রয়েছে যে ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য জনগণকে হেঁটে নিকটবর্তী তহশিলে যেতে হয়। নেটওয়ার্ক লভ্যতার পরিধি এত কম যে ফোন করা বা ধরার জন্য জনগণকে টিলার ওপর চড়তে হয়! এই সমস্ত মানুষ কিভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করবেন – এবং তা শুধু জিনিসপত্র বিক্রি বা কেনার জন্যই নয়, রেশনের দোকানগুলো থেকে খাদ্যদ্রব্য কেনার ক্ষেত্রেও?

  • গ্রামীণ হাটগুলোতে কি হবে? আমরা কি কল্পনাতেও একথা ভাবতে পারি যে, তারা 'নগদহীন' ব্যবস্থায় যেতে পারবে?

  • সরকার এত বছর ধরে সেচের জন্য কৃষকদের বিদ্যুৎ দিতে পারেনি : সে কি এখন কৃষকদের জন্য বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করবে?

দরিদ্ররা কিভাবে রেশন তুলবেন?

রেশন দোকানগুলোর সমিতির সভাপতি মোদীর নিজের ভাই প্রহ্লাদ মোদীও দরিদ্র দোকানদারদের ওপর 'নগদহীন অর্থনীতির' প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এবং নিজের রেশন দোকানে কার্ডঘষা মেশিন বসাতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “রেশন দোকানগুলোর কাছ থেকে এটা প্রত্যাশা করা সমীচিন নয় যে তারা নিজেদের টাকায় দোকানে কার্ডঘষা মেশিন বসাবে, এছাড়াও রেশন দোকানে যারা আসে তাদের অধিকাংশেরই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নেই।" নরেন্দ্র মোদী কি অন্ততপক্ষে তার ভাইয়ের কথাও শুনতে পারেন না? সরকার এখন বলছে যে রেশন দোকানগুলোতে কার্ডঘষা মেশিন বসানোর টাকা তারা দেবেন – কিন্তু সরকার কি প্রতিটি দরিদ্র নাগরিককে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড দেবেন এবং বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট পাওয়া না গেলেও তারা যাতে রেশন পান সেটা সুনিশ্চিত করবেন? দরিদ্রদের যদি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড না থাকে, কার্ডঘষা মেশিন যদি কাজ না করে, তাহলে কি তারা অনাহারে থাকবেন?