• ৪০ দিনে ৬০ বার নিয়মে পরিবর্তন করা হল

  • পুরনো নোট পাল্টানোর নিয়মে বদল আনা হল পাঁচবার

  • টাকা তোলার সীমাকে পাল্টানো হল ছবার

  • পুরনো নোট ব্যবহারের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হল আটবার

প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং আরবিআই জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, নোট বদলের যথেষ্ট সময় রয়েছে -- তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই এবং লাইন ছোট হয়ে আসার জন্য তারা অপেক্ষা করুন এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে বদল করে নেবেন। কিন্তু ১৯ ডিসেম্বর আরবিআই এক নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলল যে, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রতিটি অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকার বেশি পুরনো নোট মাত্র একবারই জমা করা যাবে এবং পুরনো নোট জমা দিতে দেরী হল কেন তার ব্যাখ্যাও তাদের দিতে হবে ! ব্যাপক প্রতিবাদ ওঠার পর আরবিআই অবশ্য এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয়।

কেউ কেউ এমন মন্তব্য করেছেন যে, এই সরকার বিমুদ্রাকরণ সম্পর্কিত নিয়ম যতবার পাল্টেছেন, ট্রাফিক পুলিশ যদি যান চলাচলের নিয়ম ততবার পাল্টায় তাহলে রাস্তায় কি ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং কত দুর্ঘটনা ঘটবে তা কল্পনা করুন ! রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে  তার নিয়মগুলো বদল করেছে তাতে তাকে উলটপালট ব্যাঙ্ক বলাই ভালো।

সরকারের জারি করা সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী, কেউ ৩০ ডিসেম্বরের পর পুরনো  ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট রাখলে তার জরিমানা হতে পারে। এই নিয়ম উদ্ভট। ৩০ ডিসেম্বরের পর পুরনো নোট যদি আবর্জনায় পরিণত হয়ে গিয়ে থাকে তবে ঐ ধরনের ফালতু একটা কাগজ রাখাটা অপরাধ হবে কেন?

ক্রমেই এটা বেশি করে স্পষ্ট হতে থাকল যে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন নোট ছাপতে আরও অনেক সময় লাগবে। এর অর্থ হল, এখনও দীর্ঘ সময় ধরে জনগণ ব্যাঙ্ক থেকে প্রয়োজন মতো টাকা তুলতে পারবেন না। যন্ত্রণা শুধু ৫০ দিনের বলে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অসত্য বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ৫০ দিনের বদলে তিন মাস অথবা ছমাস সময়কালের কথা বলতে শুরু করেছেন।

নিয়ম-নীতিতে প্রত্যেকটা পরিবর্তনের সাথেই সরকারের আশ্বাসের ওপর জনগণের আস্থা শেষ সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে।