• নতুন নোট যথেষ্ট পরিমাণে না ছেপে সরকার পুরনো নোটগুলো বাতিলের পথে কেন গেল?

  • এটিএম-গুলোকে নতুন নোটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে তোলা হল না কেন?

  • প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন যে ১০০ টাকার নোট হল দরিদ্রদের নোট – তাহলে সরকার ২০০০ টাকার নোটের পরিবর্তে যথেষ্ট সংখ্যায় ১০০ টাকার নোট ছাপালো না কেন, যে ২০০০ টাকার নোটে কালো টাকা মজুত করা কালো টাকার কারবারিদের কাছে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোটের টাকার চেয়ে সহজতর?

  • গ্রামীণ ভারতে কৃষকরা সমবায় ব্যাঙ্কগুলোকেই বেশি ব্যবহার করে থাকেন। পুরনো নোট পাল্টানোর জন্য সরকার ঐ ব্যাঙ্কগুলোকে অনুমোদন দিল না কেন?

  • চাষের জন্য যথাসময়ে বীজ কিনতে সমবায় ব্যাঙ্কগুলোর ওপর নির্ভরশীল কৃষকরা টাকার অভাবে জর্জরিত হলেন – যতক্ষণ না সরকার অনেক পরে এর জন্য পুরনো নোট ব্যবহারের অনুমতি দিলেন।

সরকার দাবি করে যে, অর্থনীতির ধমনী থেকে দূষিত রক্ত বার করে দিয়ে তার মধ্যে তাজা, বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চার করার জন্য নোট বাতিলের পদক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছিল। সরকার ধমনী থেকে ৮৬ শতাংশ পুরনো রক্ত বার করে নিয়েছে – আর সে বলছে যে নতুন রক্তের জোগাড় এখনও হয়নি আর দেশকে তাই অপেক্ষা করতে হবে ! ফলে গোটা দেশকে এখন প্রয়োজনীয় 'রক্তের' (নগদ টাকা) মাত্র ১৪ শতাংশের ওপর কোনরকমে টিকে থাকতে হচ্ছে।

আর একটা উপমার সাহায্যে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, পুকুরটা দূষিত হয়ে গেছে আর তাই পুকুরটার সব জল নিকাশ করতে হবে। কিন্তু নতুন পুকুর এখনও তৈরি নয় আর তাই মাছগুলো (অর্থনীতি, সাধারণ জনগণ) নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য খাবি খাচ্ছে আর মারা যাচ্ছে !

সর্বোপরি, জনগণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটা তুলে ধরছেন তা হল : সরকার এবং আরবিআই অত ঘনঘন নিয়মনীতিগুলো পাল্টাচ্ছিল কেন? সরকার যদি তার পরিকল্পনাকে ছমাস আগেই ঠিক করে থাকে তবে যে সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো সে আগে থেকেই অনুমান করতে পারত এবং সেগুলো কাটানোর জন্য নিয়মগুলোকেও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করতে পারত?