“মিত্রোঁ, আজ মধ্যরাত্রির পর থেকে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট আর বৈধ মুদ্রা বলে বিবেচিত হবে না ... এটা কালো টাকার ওপর এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ... সাধারণ সৎ জনগণের পক্ষে সামান্য অসুবিধা হবে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ও ধনীদের নিদ্রাবিহীন রাত্রি কাটাতে হবে।"

গোড়ার দিকের দিনগুলোতে অন্তহীন লাইন আর যন্ত্রণা সত্ত্বেও অনেক সাধারণ মানুষই মনে করেছিলেন যে, কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের স্বার্থে তারা যন্ত্রণা সহ্য এবং আত্মত্যাগ করবেন। তাঁরা মনে করলেন, ধনীরা তাদের বস্তা ভর্তি কালো টাকাকে জঞ্জাল হিসাবে নষ্ট করে ফেলতে বাধ্য হবে -- আর এই ধরনের ভাবনা তাঁদের কিছুটা আত্মতুষ্টি দিয়েছিল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা করলেন যে, নোট বাতিল সমস্ত জাল টাকাকে ধ্বংস করবে, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ যোগানের মেরুদণ্ডটাকে ভেঙে দেবে, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঞ্চিত কালো নগদ টাকা অকার্যকর হয়ে যাওয়ার ফলে নির্বাচনগুলোও পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠবে, তখন তারা তাকে বিশ্বাসও করেছিলেন।

কিন্তু নোট বাতিলের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্নগুলো প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মাথাচাড়া দিতে শুরু করল।