(১৫ জুন ১৯৯৮ দিল্লীতে ‘ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক ইনিশিয়েটিভ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রদত্ত ভাষণ, ভাষণটি লিবারেশন জুলাই ১৯৯৮ সংখ্যায় প্রকাশ করার জন্য বক্তার দ্বারা অল্প কিছু পরিবর্তিত হয়েছে)

আমি জানি না পোখরান বিস্ফোরণ কী মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তার জন্ম দিয়েছে, কিন্তু এটি যে সমগ্র দেশজুড়ে ভালো পরিমাণে মতাদর্শগত দূষণের জন্ম দিয়েছে তা অত্যন্ত স্পষ্ট।

এখন বিস্ফোরণের পেছনকার কারণ সম্পর্কে অনেক মতামত আছে। প্রথমত চতুরাননজীও যার উল্লেখ করেছেন তা হল পারমাণবিক বোমার যখন বিস্ফোরণ ঘটানো হল তখন বলা হল যে গৌতম বুদ্ধ হেসেছেন। তা যদি হয় তাহলে যেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে মারার জন্য এই বোমা ব্যবহার করা হবে সেদিন সম্ভবত বুদ্ধ অট্টহাস্য করে উঠবেন। কিছু ব্যক্তি যুক্তি দেখান যে বিজেপি পরিচালিত জোটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়ললিতা এই দুই মানব বোমাকে প্রশমিত করার জন্য পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। যদি বর্তমান সরকার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন চিন্তার দ্বারা পরিচালিত হয়, তবে তা দেশের পক্ষে প্রকৃতই এক বড় বিপদ। আর একটি অভিমতও আছে যে, রামমন্দির কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় বিজেপির বিক্ষুব্ধ ধর্মোন্মাদ কর্মীবাহিনীর কাছে এক বিকল্প কর্মসূচি হাজির করার জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তাহলে এটি খুবই উদ্বেগের বিষয় কেননা আপনারা জানেন যে বিজেপির কর্মীবাহিনীর মগজে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা এবং যখন তারা স্লোগান তুলেছিল “গর্বভরে বলো যে আমরা হিন্দু” তখন তা বাবরি মসজিদ ধুলিসাৎ করার মধ্যে পরিণতি পায়। আর আজ বোমাকে কেন্দ্র করে যখন আর একবার শক্তিপীঠ, শৌর্ষ্য দিবস-এর মতো হিন্দু আওয়াজগুলি তোলা হচ্ছে তখন আমি জানি না যে এগুলি কিসে পরিণতি লাভ করবে।

রাম মন্দিরের স্লোগান মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ছিল আর পারমাণবিক বোমা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে যে বিজেপি পার্টির কাছে জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই এবং যার মূল দিশাই হল মুসলিম বিরোধিতা, তার ক্যাডার বাহিনীর কাছে পারমাণবিক বোমা হিন্দু বোমা ছাড়া আর কিছুই নয়।

বোমার সাথে আসা এই সমস্ত মতাদর্শগত দূষণ দেশের আকাশকে পরিব্যাপ্ত করেছে আর তা হল পারমাণবিক বিস্ফোরণেরই ফলাফল। তথাপি দেশের মাটিতে এর আরও বেশি বিপজ্জনক ভবিষ্যৎ ফলাফলের তুলনায় আমার কাছে এটি গৌণ। প্রথমত বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এই উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা, এই উগ্র জাতিদম্ভ আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে তা আমি জানি না। প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তেজনাকে উঁচু মাত্রায় তোলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধজিগির তোলা হচ্ছে এবং আমরা প্রকৃতই এক যুদ্ধ প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে চলেছি। এখন সমগ্র বিষয়টি যদি উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদনার দিকে পরিচালিত হয় এবং এর সাথে সাথে যুদ্ধ প্রস্তুতিকে বাড়িয়ে তোলা হয় তাহলে জাতীয় রাজনীতির উপরও এর প্রতিক্রিয়া পড়বে। এটাই আমরা দেখেছি ১৯৭৪ সালে পোখরানে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার সময়কালে, যখন পরবর্তী এক বছরের মাথাতেই দেশের মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। তাই যুক্তিসঙ্গতভাবেই আমাদের মনে এই প্রশ্ন দেখা দেয় যে পারমাণবিক বিস্ফোরণের সাথে সাথে গড়ে তোলা এই উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা আমাদের দেশে যেটুকু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে তাকে কতদূর পর্যন্ত সহ্য করবে? আর আমরা আবার দেখছি এই যুক্তি তোলা হচ্ছে যে আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রপতি ধাঁচের শাসন। তাঁরা বলছেন যে বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থা আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্থায়িত্ব আনতে পারে না কেননা এখানে প্রায়শই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হয়, আর এটি কোনো ভালো বিষয় নয় কেননা তা বড় ধরনের জাতীয় খরচ ঘটায়। তারপর তারা একজন মহান ও সক্ষম নেতা, এক মহান ব্যক্তিত্বের প্রয়োজনের কথা বলেছেন। এই সমস্ত মধ্যবিত্তসুলভ উদ্বেগ ও আকাঙ্খাকে পুঁজি করে জনগণের মনন জগৎকে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শেষ করে দেওয়া যায় এবং দেশের উপর এক একনায়কত্বের ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া যায়। আমার কাছে এটিই সবচেয়ে বড় বিপদ যেটি পারমাণবিক বিস্ফোরণ ও উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে উত্তেজনা গড়ে তোলা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির পিছনে ওৎ পেতে আছে।

দ্বিতীয়ত, আমি যা বলতে চাই তা হল এটি নিছক একটি বোমা পরীক্ষার ব্যাপার নয়। এই পারমাণবিক পরীক্ষার ফলশ্রুতি হিসাবে এক পারমাণবিক মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের নামে গত ৩০ বছর ধরে একটি সমগ্র প্রকল্প চালানো হচ্ছে এবং পরের পর বাজেটগুলিতে এই খাতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দও করা হচ্ছে এবং এখানে ব্যয়ের হিসাব নিকাশ কখনই জনগণের গোচরে আনা হয়নি। ধাপে ধাপে একটি বিরাট আমলাতান্ত্রিক-বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের এক সমগ্র কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। আর এখন সমগ্র জাতীয় অর্থনীতির সামরিকীকরণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

কিছুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত পারমাণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান আর চিদাম্বরমের কিছু কথা আমি উল্লেখ করতে চাই : “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যা উন্নয়নের বাহক তা জাতীয় নিরাপত্তারও ভিত্তিস্বরূপ এবং নিশ্চিত নিরাপত্তা ছাড়া উন্নয়নও হোঁচট খাবে। ভারতবর্ষের প্রয়োজন হল এক শিল্পীয়-সামরিক কাঠামো (Complex) গড়ে তোলা যা একদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এবং অপরদিকে উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করতে পারে।” এখন এটি হল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকল্প, উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ বিপরীত বীক্ষা, গত ৫০ বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে যে বীক্ষাকে কেন্দ্র করে উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসা হয়েছে সেখান থেকে মূলগতভাবেই সরে আসা। এই নতুন বীক্ষায় বলা হচ্ছে যে অস্ত্র কারখানা, পারমাণবিক শক্তি, বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে যে পরিমাণে শিল্পীয়-সামরিক কাঠামোকে শক্তিশালী করা যাবে সে পরিমাণে উন্নয়নের দরজাও খুলে যাবে। আমার কাছে এ এক ভয়ঙ্কর বিপদজনক প্রকল্প। এখন এটিকে নিছক একটি বা দুটি বোমা পরীক্ষার ব্যাপার হিসাবে বা আমাদের উন্নয়নের রণনীতি থেকে আলাদাভাবে বেশ কিছু বোমা ও মিসাইল তৈরি করে অস্ত্র সজ্জিত হওয়ার ব্যাপার হিসাবে দেখা হচ্ছে না। এমনকি আমাদের উন্নয়নের মডেলের একটি অংশ হিসাবেও এটি দেখা হচ্ছে না, বরং এটিকে দেখা হচ্ছে আমাদের সমগ্র উন্নয়নের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হিসাবে। এখন থেকে উন্নয়নের সমগ্র রণনীতি শিল্পীয়-সামরিক কাঠামোকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে। এটিই হল উন্নয়নের জন্য চিদাম্বরমের প্রকল্প।

এ হল চরম দুর্ভাগ্যজনক ও ধ্বংসাত্মক। যাঁর তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে পারমাণবিক বোমার পরিকল্পনা নেওয়া হয় সেই এলবার্ট আইনস্টাইন সহ বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপক ধ্বংসক্ষম অস্ত্রের প্রতি বিরূপ ছিলেন। এমনকি পারমাণবিক বোমার জনক হিসাবে যিনি পরিচিত সেই ওপেনহাইমার পর্যন্ত হাইড্রোজেন বোমাকে বলেছিলেন অভূতপূর্ব ধ্বংসক্ষম অস্ত্র এবং তিনি এই বোমা তৈরির বিরোধিতা করেছিলেন। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৫৩ সালে আমেরিকার পারমাণবিক দপ্তর তাঁকে নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু এখানে ভারতে ও পাকিস্তানেও বিজ্ঞানী-আমলারা প্রেস কনফারেন্সে বসে বিজয় চিহ্ন নিয়ে ঝলকে উঠছেন এবং নির্দেশ পেলে তারা যে আরও ধ্বংসক্ষম বোমা তৈরি করতে পারেন তার প্রস্তুতির কথা গর্বভরে ঘোষণা করছেন। আমি মনে করি এটি বিজ্ঞানের যে সমগ্র আত্মা, জ্ঞানের যে আত্মা তার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। আমি খুবই দুঃখিত যে প্রতিটি রাজনৈতিক পার্টি এই বিজ্ঞানীদের তাদের তথাকথিত মহান সাফল্যের জন্য প্রশংসায় ব্যস্ত। অবশ্য যতদূর জানি যে বহু বিজ্ঞানীও আছেন যারা এই কাজের বিরোধিতা করেছেন।

সুতরাং বোমা বিস্ফোরণ থেকে উদ্ভূত দুটি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত বিরাট বিপদকে আমি নির্দিষ্ট করতে চাই – উগ্র জাতিদম্ভী উন্মাদনাকে সুসংবদ্ধভাবে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে দেশের মধ্যেকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর চাপিয়ে দেওয়ার বিপদ এবং শিল্পীয়-সামরিক কাঠামো গড়ে তোলার মতবাদের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সামরিকীকরণের বিপদ।

এর সাথে সম্পর্কযুক্ত আর একটি প্রশ্নও উঠে এসেছে এবং তা হল ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি বৃহৎ শক্তিগুলির দমনমূলক কৌশলের প্রতি আমাদের মনোভাব কী হবে! পাঁচটি বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ বা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলির পক্ষ থেকে সিটিবিটি-তে সই করানোর জন্য ভারত ও পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করা কতটা যুক্তিসঙ্গত বা আইনসম্মত, যখন খোদ আমেরিকান কংগ্রেসই এখনও এই চুক্তি অনুমোদন করেনি? আমেরিকান কংগ্রেসের দ্বারা এই চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা কেবলমাত্র ২০০০ সালে। এই দেশগুলি নিজেরাই ব্যাপক পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে এবং শত শত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তারা এমন একটা স্তরে পৌঁছে গেছে যে কেবলমাত্র কম্পিউটার সিমুলেশন-এর মাধ্যমে তারা আরও পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারে। তারপর সিটিবিটি-তে এমন ব্যবস্থাপনাও আছে যে এই দেশগুলি তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে দরকার হলে পরীক্ষা চালাতে পারবে। যখন এই দেশগুলি সিটিবিটি-তে সই করার জন্য আমাদের উপর ও পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে, তখন তা নিছক ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি মনে করি শান্তি আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পাঁচটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে এটিও মনে হচ্ছে যে এই পরীক্ষাগুলি পুরোনো চুক্তিগুলি সম্পর্কে সারা বিশ্বে এক নতুন বিতর্কের সূচনা ঘটিয়েছে। নতুন নতুন উদ্যোগের দরজা খুলে গেছে, জনগণ এই দেশগুলির কাছ থেকে জানতে চাইছেন যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য তাদের কী কর্মসূচি আছে। এই উদ্যোগের সাথে আমাদের মতে আমাদের দেশের শান্তি আন্দোলনের যুক্ত হওয়া উচিত।

কখনও কখনও এটি দেখা যায় যে যখন বিষয়গুলি চরমে পৌঁছায় তখন তারা বিপরীতে ঘুরতে শুরু করে। যদিও ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিরুদ্ধে বোমা তৈরি করেছে ও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, এখন এক সমতা অর্জন হয়েছে এবং উভয়েই এখন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হয়েছে, উভয়েই বৃহৎ শক্তিগুলির কাছ থেকে চাপের সম্মুখীন এবং সম্ভবত এখন এক ঐতিহাসিক সুযোগ হাজির হয়েছে যেখানে ভারত ও পাকিস্তান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি যে পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর আলোচনার জন্য প্রস্তাব বিনিময় হচ্ছে এবং আমি আশা করি নতুন করে আলোচনা শুরু হবে এবং তাদের নিজস্ব পরিচিতি অক্ষুণ্ণ রেখেই দুটি দেশ বৃহৎ শক্তিগুলির বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থান প্রণয়ন করবে। যদি তা ঘটে তবে তা হবে নিশ্চিত এক শুভ সূচনা। এই ধরনের বিকাশের জন্য শর্তগুলি সত্যিই পরিপক্ক হতে শুরু করেছে। অবশ্য যতদিন বিজেপির মতো শক্তি দিল্লীতে শাসন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এই প্রক্রিয়া গতি পাবে না। শর্তগুলি বিদ্যমান, কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের এই সরকারগুলি এগুলি উপলব্ধি করতে সক্ষম নাও হতে পারে। বিশেষ করে আমি নয়া দিল্লীর বিজেপি সরকারের কথাই বলছি কেননা তার সমগ্র কর্মসূচিই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতার স্বার্থ এই সরকারকে হঠানোর কর্মসূচির সাথে আবশ্যিকভাবে যুক্ত। এই সেমিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক পার্টি ও বিভিন্ন মতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন। আমি আশা করি দেশের সামরিকীকরণ ও আমাদের গণতন্ত্রের প্রতি ক্রমবর্ধমান বিপদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে সক্ষম হবো।